বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০১৪

বিতরের নামায পড়িবার নিয়ম এবং দোয়ায়ে কুনুতের আরবী ও বাংলা উচ্চারন এবং তাঁর অর্থ

User-agent: Mediapartners-Google 
Disallow:

বিতরের নামায পড়িবার নিয়ম
এবং
দোয়ায়ে কুনুতের আরবী ও বাংলা উচ্চারন এবং তাঁর অর্থ 

এশার নামায পড়িবার পর বিতরের তিন রাকাআত নামায পড়িতে হয়, ইহা ওয়াজিবপুর্বে উল্লেখিত তিন রাকাআত বিশিষ্ট নামাযের মত বেতরের নামায পড়িবে। তবে তৃতীয় রাকাআতে সূরায়ে ফাতিহার পর অন্য কোন সূরা বা আয়াত পড়িয়া আল্লাহু আকবর বলিয়া উভয় হস্ত কান পর্যন্ত উঠাইয়া পুনঃ হাত বাঁধিয়া দোয়ায়ে কুনুত পড়িবে। 
 দোয়ায়ে কুনুতের আরবী উচ্চারন
 দোয়ায়ে কুনুতের বাংলা  উচ্চারন সুরা ক্বদরের ব্যাখ্যা, আরবী ও বাংলা উচ্চারন এবং তাঁর অর্থ

আল্লাহুম্মা ইন্না নাস্তাঈনুকা, ওয়া নাস্তাগ্ফিরুকা, ওয়া নু'মিন বিকা, ওয়া নাতাওয়াক্কালু 'আলাইকা,
ওয়া নুছনী আলাইকাল খাইর। ওয়া নাশ কুরুকা, ওয়ালা নাকফুরুকা, ওয়া নাখলাউ, 

ওয়া নাতরুকু মাঁয়্যাফজুরুকা আল্লাহুম্মা ইয়্যাকা না'বুদু ওয়া লাকানুসল্লী, ওয়া নাসজুদু, ওয়া ইলাইকা নাস'আ, ওয়া নাহফিদু, ওয়া নারজু রাহমাতাকা, ওয়া নাখশা আযাবাকা, ইন্না আযাবাকা বিল কুফ্ফারি মুলহিক।

দোয়ায়ে কুনুতের অর্থ 

আয় আল্লাহ! আমরা তোমারই সাহায্য চাই । তোমারই নিকট ক্ষমা চাই, তোমারই প্রতি ঈমান রাখি, তোমারই ওপর ভরসা করি এবং সকল মঙ্গল তোমারই দিকে ন্যস্ত করি। আমরা তোমার কৃতজ্ঞ হয়ে চলি, অকৃতজ্ঞ হই না। হে আল্লাহ! আমরা তোমারই দাসত্ব করি, তোমারই জন্য নামায পড়ি এবং তোমাকেই সিজদাহ করি। আমরা তোমারই দিকে দৌড়াই ও এগিয়ে চলি। আমরা তোমারই রহমত আশা করি এবং তোমার আযাবকে ভয় করি।(যদিও) তোমার আযাবতো শুধুমাত্র কাফেরদের জন্যই র্নিধারিত। ''(তথাপি আমরা সেই আযাবের ভয়ে কম্পমান থাকি।) 
তারপর রুকু সিজদা ইত্যাদি যথারীতি আদায় করিয়া নামায শেষ করিবে।
রমজান মাস ব্যতীত সকল সময়ে বিতরের নামায একা একা এবং নিঃশব্দে পড়িতে হইবে। রমজান মাসে এই নমায জামায়েতের সাথে আদায় করা মুস্তাহাব। রমজান মাসে তারাবীর নামায শেষে ইমাম সাহেব প্রত্যেক রাকাতেরই সজোরে কেরাতে পাঠ করিবে এবং তৃতীয় রাকাআতে ইমাম সাহেব কেরাআত শেষ করিয়া সশব্দে আল্লাহু আকবরবলিয়া কান পর্যন্ত হাত উঠাইয়া পুণরায় তাহা বাঁধিবে।
মোক্তাদিগণ চুপে চুপে শুধু ইমামের অনুকরণ করিবে। হাত বাঁধিয়া সবাই চুপে চুপে দোয়ায়ে কুনুত পড়িবে। পরে যথাবিহিত ইমাম সাহেব রুকু, সিজাদা, তাশাহুদ, দরূদ পড়িয়া ছালাম করিয়া নামায শেষ করিব, মোক্তাদিগহণও তাহার অসনুসরণ করিবে।
যদি কেহ দোয়ায়ে কুনুত না জানে তবে না শিখা  পর্যন্ত সে দোয়য়ে কুনুতের স্থলে নিম্নেক্ত দোয়া পড়িবে।
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

উচ্চারনঃ রাব্বানাআতিনা ফিদ্দুনিয়া হাছানাতাও ওয়াফিল আখিরাতে হাচানাতাও ওয়াকিনা আজাবান্নার।
অথবা, তিন বার আয় আল্লাহ আমাকে মাফ কর, পড়িবে অথবা তিন বার (আল্লাহুম্মাগ ফিরলী, ইয়ারাব্বী) অর্থ হে আমার পতিপালক পড়িবে। কিন্তু সাবধান দোয়ায়ে কুনুত শিখিতে বিলম্ব মোটেও করিবে না।

১১টি মন্তব্য:

  1. নামাজের নিয়মে ভুল লেখছেন

    উত্তরমুছুন
  2. দোয়া কূনুত না পরা কি ফরজ নাকি?

    উত্তরমুছুন
  3. দোয়া কূনুত না পরা কি ফরজ নাকি?

    উত্তরমুছুন
  4. অসাধারণ কালেকশন। আরো ইসলামিক বই পেতে ভিজিট করুন। www.durjoybook.com

    উত্তরমুছুন
  5. This is an excellent and informative website. Thank you for sharing your pretty nice post about . Largest ফিকাহ বই really appreciate your efforts and will be waiting for your next writing.

    উত্তরমুছুন