শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০১৪

সূরা আত-তাকাসুরের আরবী উচ্চারন, অর্থ এবং তাঁর ফজিলত।

User-agent: Mediapartners-Google 
Disallow:
সূরা আত-তাকাসুরের আরবী উচ্চারন, অর্থ এবং তাঁর ফজিলত।
سورة التكاثر 
সূরা আত-তাকাসুর (১০২)
 
 بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, ও অসীম দয়ালু।
أَلْهَاكُمُ التَّكَاثُرُ
(১) প্রাচুর্যের লালসা তোমাদেরকে গাফেল রাখে,
حَتَّىٰ زُرْتُمُ الْمَقَابِرَ
(২) এমনকি, তোমরা কবরস্থানে পৌছে যাও।
كَلَّا سَوْفَ تَعْلَمُونَ
(৩) এটা কখনও উচিত নয়। তোমরা সত্ত্বরই জেনে নেবে।
ثُمَّ كَلَّا سَوْفَ تَعْلَمُونَ
(৪) অতঃপর এটা কখনও উচিত নয়। তোমরা সত্ত্বরই জেনে নেবে।
كَلَّا لَوْ تَعْلَمُونَ عِلْمَ الْيَقِي
(৫) কখনই নয়; যদি তোমরা নিশ্চিত জানতে।
لَتَرَوُنَّ الْجَحِيمَ
(৬) তোমরা অবশ্যই জাহান্নাম দেখবে,
ثُمَّ لَتَرَوُنَّهَا عَيْنَ الْيَقِي
(৭) অতঃপর তোমরা তা অবশ্যই দেখবে দিব্য প্রত্যয়ে,
ثُمَّ لَتُسْأَلُنَّ يَوْمَئِذٍ عَنِ النَّعِيمِ
(৮) এরপর অবশ্যই সেদিন তোমরা নেয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে।
ফজিলতঃ  
রসুল করীম (সাঃ) একবার সাহাবায়ে কেরামকে লক্ষ্য করে বললেন তোমাদের মধ্যে কারও এমন ক্ষমতা নেই যে, এক হাজার আয়াত পাঠ করবে। সাহাবায়ে কেরাম আরজ করলেনঃ হাঁ এক হাজার আয়াত পাঠ করার শক্তি কয়জনের আছে। তিনি বললেনঃ তোমাদের কেউ কি সূরা তাকাছুর পাঠ করতে পারবে না ? উল্লেখ্য এই যে,  
দৈনিক এই সূরা পাঠ করা এক হাজার আয়াত পাঠ করার সমান।- (মাযহারী) 
""♥(¯`'•.¸(¯`'• . ¸ *♥♥*¸.•'´¯)¸.•' ´¯)♥
♥♥(¯`'•.¸(¯`'•. ¸**¸.•'´¯)¸.•'´ ¯)♥♥
ভাল লাগলে শেয়ার করুম
(_¸.•'´(_¸.•'´* ♥♥♥♥*`'•.¸_)`'• .¸_)
♥(_¸.•'´(_¸.•'´ *♥♥*`'•.¸_)`'•. ¸_)

শুক্রবার, ২৫ জুলাই, ২০১৪

সম্পূর্ণ নামাজ পড়ার নিয়ম (প্রথম অংশ)

 User-agent: Mediapartners-Google 
Disallow:
সম্পূর্ণ নামাজ পড়ার নিয়ম (প্রথম অংশ)
১. তাকবীরে তাহরীমা বলা।
 الله أكبر
উচ্চারণঃ আল্লাহু আকবার

.ছানা পড়া।
 سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالَى جَدُّكَ وَلَا إِلَهَ غَيْرُكَ
উচ্চারণঃ সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওবিহামদিকা ওতাবারাকাছমুকা ওতাআ'লাজাদ্দুকা ওলাইলাহাগইরুক।
অর্থঃ আয়আল্লাহ! আমি তোমারই পবিত্রতা বর্ণনা করিতেছি তোমার প্রশংসার সহিত, বরকতময় তোমার নাম। সুউচ্চ তোমার মহিমা। এবং তুমি ভিন্ন কোন মা'বুদনাই।

.আউযুবিল্লাহ পড়া।
 أعوذ بالله من الشيطان الرجيم
উচ্চারণঃ আউযুবিল্লা হিমিনাশ শায়তানির রাঝিম।
অর্থঃ আমি বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

.বিসমিল্লাহ পড়া।
 بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
অর্থঃ পরমকরুনাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।

.আলহামদু শরীফ তথা সূরায়ে ফাতিহা পড়া।


উচ্চারণঃ ()আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামিন, ()আররাহমানির রাহিম, ()মালিকি ইয়াওমিদ্দিন, ()ইয়্যাকা না'বুদু ওইয়্যাকা নাসতাঈন, ()ইহদিনাসসিরাতাল মুসতাকীম, ()সিরাতল্লাযিনা আনআমতা আলাইহিম, ()গাইরিলমাগদুবি আলাইহিম ওয়ালাদ্দ—লিন।(আমীন)
অর্থঃ ()সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, ()যিনি সমস্ত জগতসমূহের সৃষ্টিকর্তা, রক্ষাকর্তা, পালনকর্তা। ()যিনি দয়াময়, অত্যন্ত দয়ালু, যিনি বড় মেহেরবান। ()যিনি কর্মফল দিবসের একচ্ছত্র মালিক। ()আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদাত করিতেছি এবং তোমারই নিকট সাহায্য প্রর্থনা করিতেছি। ()আমাদেরকে দোখাও সঠিক সরল পথ। ()তাদের পথ যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করিয়াছ। যারা তোমার অনুগ্রহের পাত্র হইয়াছেন। তাদের পথ নয় যাদের প্রতি তোমার পক্ষ থেকে গযব নাযিল হয়েছে।
বিঃ দ্রঃ উক্ত সূরা(ফাতিহা) শেষ করার পর আমীন (امين) বলতে হবে এবং সূরা ফাতিহা তথা আলহামদুর সাথে অন্য সূরা মিলানো ওয়াজিব। তবে ফরয নামাযের প্রথম দুই রাকাতে তা নির্দিষ্ট।

সূরা ফাতিহা পাঠ করার পর যে ১১ টি সূরা আমরা অধিক সময় পাঠ করে থাকি, সেগুলো অর্থসহ পেতে ভিজিট করুন

. রুকুতে তাসবীহ পড়া।
 سبحان ربي العظيم
উচ্চারণঃ সুবহানা রাব্বিয়াল আযিম।
অর্থঃ আমার মহান প্রতিপালকের পবিত্রতা বর্ণনা করিতেছি।

. রুকু হইতে উঠিবার সময়ের তাসবীহ পড়া।
 سمع الله لمن حمده
উচ্চারণঃ সামিআল্লাহুলিমান হামিদাহ
অর্থঃ যে আল্লাহর প্রশংসা করিয়াছে, আল্লাহ তাহার প্রশংসা কবুল করিয়াছেন।

. রুকু থেকে উঠে দাড়িয়ে থেকে পড়তে হবে।



উচ্চারণঃ রাব্বানা লাকাল হামদ হামদান কাছীরান ত্বাইয়্যেবান মুবারাকানফিহ।
অর্থঃ হে আমাদের প্রতিপালক অধিক অধিক প্রশংসা ও পবিত্রতা তোমারই। (এখানে রাব্বানা লাকাল হামদ পর্যন্ত পড়লেও হবে।)

. সেজদায় তাসবীহ পড়া।
 سبحان ربي الأعلى
উচ্চারণঃ সুবহানা রাব্বিয়াল আ'লা।
অর্থঃ আমার মহান প্রতিপালকের পবিত্রতা বর্ণনা করিতেছি।

১০. উভয় বৈঠকে(বসা অবস্থায়) তাশাহুদ বা আত্তাহিয়্যাতু পড়া।
 التحيات لله والصلوات والطيبات، السلام عليك أيها النبي ورحمة الله وبركاته، السلام علينا و على عباد الله الصالحين، أشهد أن لا إله إلا الله، وأشهد أن محمدا عبده و رسوله-
উচ্চারণঃ আত্যাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওস্ সলাওয়াতু ওত্ তয়্যেবাতু আসসালামুআলাইকা আয়্যুহান্নাবিয়্যু ওরাহমাতুল্লাহি ওবারাকাতুহু আসসালামুআলাইনা ওয়া'লা ঈবাদিল্লাহি সসলিহিনা আশহাদুআল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াশহাদু আন্না মুহাম্মাদাং আবদুহু ওয়ারাসূলুহ।
অর্থঃ সমস্ত মৌখিক ইবাদাত, সমস্ত শারীরিক ইবাদাত এবং সমস্ত পবিত্র বিষয় আল্লাহ তা'আলার জন্য। হে নবী! আপনার উপর শান্তি ও তাহার বরকতসমূহ নাযিল হউক। আমাদের প্রতি ও আল্লাহ তা'আলার নেক বান্দাদের প্রতি তাঁহার শান্তি বর্ষিত হউক। আমি সাক্ষ্য দিতেছি যে, আল্লাহ তা'আলা ব্যতীত আর কোন মা'বুদ নাই। আমি আরো সাক্ষ্য দিতেছি যে, হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁহার বান্দা ও রাসূল।

১১.দুরুদ শরীফ পড়া।
اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ، وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ، اللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ، وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ، وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা সল্লেআ'লা মুহাম্মাদিও ও'য়ালা আলি মুহাম্মদ কামা সল্লেইতা'আলা ইবরাহিমা ওয়া'লা আলি ইবরাহিমা ইন্নাকা হামিদুম্মাজিদ। আল্লাহুম্মা বারিকআ'লা মুহাম্মাদিও ও'য়ালা আলি মুহাম্মদ কামা বারাকতা'আলা ইবরাহিমা ওয়া'লা আলি ইবরাহিমা ইন্নাকা হামিদুম্মাজিদ।
অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি রহমত বর্ষণ কর মুহাম্মদ(সা.)-এর প্রতি ও তাঁহার পরিবার পরিজনের প্রতি, যেমন রহমত বর্ষণ করিয়াছ ইবরাহীম(.)-এর প্রতি ও তাঁহার পরিবার পরিজনের প্রতি। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসিত ও সন্মানিত। হে আল্লাহ! তুমি বরকত নাযিল কর মুহাম্মদ(সা.)-এর প্রতি ও তাঁহার পরিবার পরিজনের প্রতি, যেমন বরকত নাযিল করিয়াছ ইবরাহীম(.)-এর প্রতি ও তাঁহার পরিবার পরিজনের প্রতি। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসিত ও সন্মানিত।

১২. দু'আয়ে মাসূরা পড়া।
 اللَّهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ظُلْمًا كَثِيرًا، وَلَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ. فَاغْفِرْ لِي مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ، وَارْحَمْنِي إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি যলামতুনাফসি যুলমাং কাসিরাও ওলা ইয়াগফিরুজ্জুনুবা ইল্লা আংতা ফাগফিরলি মাগফিরাতাম মিনইংদিকা ওয়ারহামনি ইন্নাকা আংতাল গফুরুর রাহিম।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আমার আত্মার উপর অসংখ্য জুলুম করিয়াছি এবং তুমি ব্যতীত পাপ সমূহ ক্ষমা করিবার আর কেহই নাই। অতএব আমাকে ক্ষমা কর তোমার নিজের পক্ষ হইতে এবং আমাকে দয়া কর। নিশ্চয়ই তুমি ক্ষমাশীল, দয়াবান।
এখন আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ (السلام عليكم ورحمة الله) বলে ডানদিকে ও বামদিকে সালাম দিয়ে নামায শেষ করতে হবে। 
অর্থঃ (হে মুক্তাদী ও ফেরেশ্তাগন) তোমাদের উপর আল্লাহর শান্তি ও রহমত বর্ষিত হোউক।

সূরা ফাতিহা পাঠ করার পর যে ১১ টি সূরা আমরা অধিক সময় পাঠ করে থাকি।

User-agent: Mediapartners-Google 
Disallow:
সূরা ফাতিহা পাঠ করার পর যে ১১ টি সূরা আমরা অধিক সময় পাঠ করে থাকি,


سرة الفاطحة (০১)
সূরা আল-ফাতেহা  

 بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, ও অসীম দয়ালু। 
الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِي
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তাআলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।
 الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু।
مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ
যিনি বিচার দিনের মালিক ।
إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِي 
আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি
اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ
আমাদেরকে সরল পথ দেখাও,
صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّي
সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।
 امين
 আমীন

""♥(¯`'•.¸(¯`'• . ¸ *♥♥*¸.•'´¯)¸.•' ´¯)♥
♥♥(¯`'•.¸(¯`'•. ¸**¸.•'´¯)¸.•'´ ¯)♥♥
ভাল লাগলে শেয়ার করুম
(_¸.•'´(_¸.•'´* ♥♥♥♥*`'•.¸_)`'• .¸_)
♥(_¸.•'´(_¸.•'´ *♥♥*`'•.¸_)`'•. ¸_)

سورة الفيل 
সূরা আল-ফীল (১০৫)

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, ও অসীম দয়ালু।
أَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِأَصْحَابِ الْفِيلِ
আপনি কি দেখেননি আপনার পালনকর্তা হস্তীবাহিনীর সাথে কিরূপ ব্যবহার করেছেন ?
أَلَمْ يَجْعَلْ كَيْدَهُمْ فِي تَضْلِيلٍ
তিনি কি তাদের চক্রান্ত নস্যাৎ করে দেননি ?
وَأَرْسَلَ عَلَيْهِمْ طَيْرًا أَبَابِيلَ
তিনি তাদের উপর প্রেরণ করেছেন ঝাঁকে ঝাঁকে পাখী,
تَرْمِيهِم بِحِجَارَةٍ مِّن سِجِّيلٍ
যারা তাদের উপর পাথরের কংকর নিক্ষেপ করছিল।
فَجَعَلَهُمْ كَعَصْفٍ مَّأْكُولٍ
অতঃপর তিনি তাদেরকে ভক্ষিত তৃণসদৃশ করে দেন।
♥(¯`'•.¸(¯`'• . ¸ *♥♥*¸.•'´¯)¸.•' ´¯)♥
♥♥(¯`'•.¸(¯`'•. ¸**¸.•'´¯)¸.•'´ ¯)♥♥
ভাল লাগলে শেয়ার করুম
(_¸.•'´(_¸.•'´* ♥♥♥♥*`'•.¸_)`'• .¸_)
♥(_¸.•'´(_¸.•'´ *♥♥*`'•.¸_)`'•. ¸_)

سورة قريش
সূরা-কুরাইশ (১০৬)
 بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ 
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, ও অসীম দয়ালু।
لِإِيلَافِ قُرَيْش
(১) কোরাইশের আসক্তির কারণে,
إِيلَافِهِمْ رِحْلَةَ الشِّتَاءِ وَالصَّيْفِ
(২) আসক্তির কারণে তাদের শীত ও গ্রীষ্মকালীন সফরের।
فَلْيَعْبُدُوا رَبَّ هَٰذَا الْبَيْتِ
(৩) অতএব তারা যেন এবাদত করে এই ঘরের পালনকর্তার
الَّذِي أَطْعَمَهُم مِّن جُوعٍ وَآمَنَهُم مِّنْ خَوْفٍ
(৪) যিনি তাদেরকে ক্ষুধায় আহার দিয়েছেন এবং যুদ্ধভীতি থেকে তাদেরকে নিরাপদ করেছেন। 

♥(¯`'•.¸(¯`'• . ¸ *♥♥*¸.•'´¯)¸.•' ´¯)♥
♥♥(¯`'•.¸(¯`'•. ¸**¸.•'´¯)¸.•'´ ¯)♥♥
ভাল লাগলে শেয়ার করুম
(_¸.•'´(_¸.•'´* ♥♥♥♥*`'•.¸_)`'• .¸_)
♥(_¸.•'´(_¸.•'´ *♥♥*`'•.¸_)`'•. ¸_)

سورة الماعون
সূরা আল-মাউন (১০৭)

 بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ 
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, ও অসীম দয়ালু।
أَرَأَيْتَ الَّذِي يُكَذِّبُ بِالدِّينِ
আপনি কি দেখেছেন তাকে, যে বিচারদিবসকে মিথ্যা বলে ?
فَذَٰلِكَ الَّذِي يَدُعُّ الْيَتِيمَ
সে সেই ব্যক্তি, যে এতীমকে গলা ধাক্কা দেয়
وَلَا يَحُضُّ عَلَىٰ طَعَامِ الْمِسْكِينِ
এবং মিসকীনকে অন্ন দিতে উৎসাহিত করে না।فَوَيْلٌ لِّلْمُصَلِّيঅতএব দুর্ভোগ সেসব নামাযীর,
الَّذِينَ هُمْ عَن صَلَاتِهِمْ سَاهُونَ
যারা তাদের নামায সম্বন্ধে বে-খবর,
الَّذِينَ هُمْ يُرَاءُونَ
যারা তা লোক-দেখানোর জন্য করে
وَيَمْنَعُونَ الْمَاعُونَ
এবং নিত্য ব্যবহার্য্য বস্তু অন্যকে দেয় না।

♥(¯`'•.¸(¯`'• . ¸ *♥♥*¸.•'´¯)¸.•' ´¯)♥
♥♥(¯`'•.¸(¯`'•. ¸**¸.•'´¯)¸.•'´ ¯)♥♥
ভাল লাগলে শেয়ার করুম
(_¸.•'´(_¸.•'´* ♥♥♥♥*`'•.¸_)`'• .¸_)
♥(_¸.•'´(_¸.•'´ *♥♥*`'•.¸_)`'•. ¸_)

سورة الكوثر
সূরা আল-কাউসার (১০৮)

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ 
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, ও অসীম দয়ালু।
إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ
নিশ্চয় আমি আপনাকে কাওসার দান করেছি।
فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ
অতএব আপনার পালনকর্তার উদ্দেশ্যে নামায পড়ুন এবং কোরবানী করুন।
إِنَّ شَانِئَكَ هُوَ الْأَبْتَ
যে আপনার শত্রু, সেই তো লেজকাটা, নির্বংশ।

♥(¯`'•.¸(¯`'• . ¸ *♥♥*¸.•'´¯)¸.•' ´¯)♥
♥♥(¯`'•.¸(¯`'•. ¸**¸.•'´¯)¸.•'´ ¯)♥♥
ভাল লাগলে শেয়ার করুম
(_¸.•'´(_¸.•'´* ♥♥♥♥*`'•.¸_)`'• .¸_)
♥(_¸.•'´(_¸.•'´ *♥♥*`'•.¸_)`'•. ¸_)
سورة الكافرون
সূরা আল-কাফেরূন (১০৯)

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ 
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, ও অসীম দয়ালু।
قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ
বলুন, হে কাফেরুন,
لَا أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ
আমি এবাদত করিনা, তোমরা যার এবাদত কর।
وَلَا أَنتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ
এবং তোমরাও এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি
وَلَا أَنَا عَابِدٌ مَّا عَبَدتُّمْ
এবং আমি এবাদতকারী নই, যার এবাদত তোমরা কর।
وَلَا أَنتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ
তোমরা এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি।
لَكُمْ دِينُكُمْ وَلِيَ دِينِ
তোমাদের কর্ম ও কর্মফল তোমাদের জন্যে এবং আমার কর্ম ও কর্মফল আমার জন্যে।

♥(¯`'•.¸(¯`'• . ¸ *♥♥*¸.•'´¯)¸.•' ´¯)♥
♥♥(¯`'•.¸(¯`'•. ¸**¸.•'´¯)¸.•'´ ¯)♥♥
ভাল লাগলে শেয়ার করুম
(_¸.•'´(_¸.•'´* ♥♥♥♥*`'•.¸_)`'• .¸_)
♥(_¸.•'´(_¸.•'´ *♥♥*`'•.¸_)`'•. ¸_)

سورة النصر
সূরা আন-নাসর (১১০)

 بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, ও অসীম দয়ালু।
إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ
যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়
وَرَأَيْتَ النَّاسَ يَدْخُلُونَ فِي دِينِ اللَّهِ أَفْوَاجًا
এবং আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন,
فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرْهُ ۚ إِنَّهُ كَانَ تَوَّابًا
তখন আপনি আপনার পালনকর্তার পবিত্রতা বর্ণনা করুন এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাকারী।

♥(¯`'•.¸(¯`'• . ¸ *♥♥*¸.•'´¯)¸.•' ´¯)♥
♥♥(¯`'•.¸(¯`'•. ¸**¸.•'´¯)¸.•'´ ¯)♥♥
ভাল লাগলে শেয়ার করুম
(_¸.•'´(_¸.•'´* ♥♥♥♥*`'•.¸_)`'• .¸_)
♥(_¸.•'´(_¸.•'´ *♥♥*`'•.¸_)`'•. ¸_)

سورة لَهَبٍ
 সূরা আল-লাহাব্‌ (১১১)

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, ও অসীম দয়ালু।
تَبَّتْ يَدَا أَبِي لَهَبٍ وَتَبَّ
আবু লাহাবের হস্তদ্বয় ধ্বংস হোক এবং ধ্বংস হোক সে নিজে,
مَا أَغْنَىٰ عَنْهُ مَالُهُ وَمَا كَسَبَ
কোন কাজে আসেনি তার ধন-সম্পদ ও যা সে উপার্জন করেছে।
سَيَصْلَىٰ نَارًا ذَاتَ لَهَبٍ
সত্বরই সে প্রবেশ করবে লেলিহান অগ্নিতে
وَامْرَأَتُهُ حَمَّالَةَ الْحَطَبِ
এবং তার স্ত্রীও-যে ইন্ধন বহন করে,
فِي جِيدِهَا حَبْلٌ مِّن مَّسَدٍ 
তার গলদেশে খর্জুরের রশি নিয়ে। 



♥(¯`'•.¸(¯`'• . ¸ *♥♥*¸.•'´¯)¸.•' ´¯)♥
♥♥(¯`'•.¸(¯`'•. ¸**¸.•'´¯)¸.•'´ ¯)♥♥
ভাল লাগলে শেয়ার করুম
(_¸.•'´(_¸.•'´* ♥♥♥♥*`'•.¸_)`'• .¸_)
♥(_¸.•'´(_¸.•'´ *♥♥*`'•.¸_)`'•. ¸_)
سورة الإخلاص

সূরা আল-ইখলাছ (১১২)

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, ও অসীম দয়ালু।
قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ
বলুন, তিনি আল্লাহ, এক,
 اللَّهُ الصَّمَدُ
আল্লাহ অমুখাপেক্ষী,
لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَ
তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি
وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ
এবং তার সমতুল্য কেউ নেই।

♥(¯`'•.¸(¯`'• . ¸ *♥♥*¸.•'´¯)¸.•' ´¯)♥
♥♥(¯`'•.¸(¯`'•. ¸**¸.•'´¯)¸.•'´ ¯)♥♥
ভাল লাগলে শেয়ার করুম
(_¸.•'´(_¸.•'´* ♥♥♥♥*`'•.¸_)`'• .¸_)
♥(_¸.•'´(_¸.•'´ *♥♥*`'•.¸_)`'•. ¸_)

سورة الفلق 
সূরা আল-ফালাক (১১৩)

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, ও অসীম দয়ালু।
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ
বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি প্রভাতের পালনকর্তার,
مِن شَرِّ مَا خَلَقَ
তিনি যা সৃষ্টি করেছেন, তার অনিষ্ট থেকে,
وَمِن شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ
অন্ধকার রাত্রির অনিষ্ট থেকে, যখন তা সমাগত হয়,
وَمِن شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ
গ্রন্থিতে ফুঁৎকার দিয়ে জাদুকারিনীদের অনিষ্ট থেকে
وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ
এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে।

♥(¯`'•.¸(¯`'• . ¸ *♥♥*¸.•'´¯)¸.•' ´¯)♥
♥♥(¯`'•.¸(¯`'•. ¸**¸.•'´¯)¸.•'´ ¯)♥♥
ভাল লাগলে শেয়ার করুম
(_¸.•'´(_¸.•'´* ♥♥♥♥*`'•.¸_)`'• .¸_)
♥(_¸.•'´(_¸.•'´ *♥♥*`'•.¸_)`'•. ¸_)
سورة الناس
সূরা আন-নাস (১১৪)

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, ও অসীম দয়ালু।
 قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ
বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করিতেছি মানুষের পালনকর্তার,
مَلِكِ النَّاسِ
মানুষের অধিপতির,
إِلَٰهِ النَّاسِ
মানুষের মা’বুদের
مِن شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ
তার অনিষ্ট থেকে, যে কুমন্ত্রণা দেয় ও আত্নগোপন করে,
الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ
যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে
مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ
জ্বিনের মধ্য থেকে অথবা মানুষের মধ্য থেকে।

♥(¯`'•.¸(¯`'• . ¸ *♥♥*¸.•'´¯)¸.•' ´¯)♥
♥♥(¯`'•.¸(¯`'•. ¸**¸.•'´¯)¸.•'´ ¯)♥♥
ভাল লাগলে শেয়ার করুম
(_¸.•'´(_¸.•'´* ♥♥♥♥*`'•.¸_)`'• .¸_)
♥(_¸.•'´(_¸.•'´ *♥♥*`'•.¸_)`'•. ¸_)

শনিবার, ১৯ জুলাই, ২০১৪

সুরা ক্বদরের ব্যাখ্যা, আরবী ও বাংলা উচ্চারন এবং তাঁর অর্থ 

User-agent: Mediapartners-Google 
Disallow:

 সুরা ক্বদরের আরবী উচ্চারন

سورة القدر - سورة 97 - عدد آياتها 5  
بسم الله الرحمن الرحيم
  1. إِنَّا أَنزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ
  2. وَمَا أَدْرَاكَ مَا لَيْلَةُ الْقَدْرِ
  3. لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِّنْ أَلْفِ شَهْرٍ
  4. تَنَزَّلُ الْمَلائِكَةُ وَالرُّوحُ فِيهَا بِإِذْنِ رَبِّهِم مِّن كُلِّ أَمْرٍ
  5. سَلامٌ هِيَ حَتَّى مَطْلَعِ الْفَجْرِ

    সুরা ক্বদরের অর্থ 

    শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
    (১) আমি একে নাযিল করেছি শবে-কদরে।
    (২) শবে-কদর সম্বন্ধে আপনি কি জানেন?
    (৩) শবে-কদর হল এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।
    (৪) এতে প্রত্যেক কাজের জন্যে ফেরেশতাগণ ও রূহ অবতীর্ণ হয় তাদের পালনকর্তার নির্দেশক্রমে।
    (৫) এটা নিরাপত্তা যা ফজরের উদয় পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।

    সুরা ক্বদরের ব্যাখ্যা

    (১) এখানে বলা হয়েছে, আমি কদরের রাতে কোরআন নাযিল করেছি আবার সূরা বাকারায় বলা হয়েছে,
    “ রমযান মাসে কোরআন নাযিল করা হয়েছে। ---- (১৮৫ আয়াত) ”
    এ থেকে জানা যায়, রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) কাছে হেরা গূহায় যে রাতে আল্লাহর ফেরেশতা অহী নিয়ে এসেছিলেন সেটি রমযান মাসের একটি রাত। এই রাতকে এখানে কদরের রাত বলা হয়েছে। সূরা দুখানে একে মুবারক রাত বলা হয়েছে। বলা হয়েছেঃ
    “ অবশ্যি আমি একে একটি বরকতপূর্ণ রাতে নাযিল করেছি। ---- (৩ আয়াত) ”
    এই রাতে কোরআন নাযিল করার দুটি অর্থ হতে পারে। প্রথম অর্থ হচ্ছে, এই রাতে সমগ্র কোরআন অহীর ধারক ফেরেশতাদেরকে দিয়ে দেয়া হয়। অতপর অবস্থা ও ঘটনাবলী অনুযায়ী তেইশ বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে জিবরাঈল (আঃ) আল্লাহর হুকুমে তার আয়াত ও সূরাগুলি রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ)-এর ওপর নাযিল করতে থাকেন। ইবনে আব্বাস (রাঃ) এ অর্থটি বর্ণনা করেছেন। দ্বিতীয় অর্থ হচ্ছে, এই রাত থেকেই কোরআন নাযিলের সূচনা হয়। এটি ইমাম শা'বীর উক্তি। এটি একটি অভ্রান্ত সত্য, রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ)-এর এবং তঁর ইসলামী দাওয়াতের জন্য কোনো ঘটনা বা ব্যাপারে সঠিক নির্দেশ লাভের প্রয়োজন দেখা দিলে তখনই আল্লাহ কোরআনের সূরা ও আয়াতগুলি রচনা করতেন না। বরং সমগ্র বিশ্ব জাহানের সৃষ্টির পূর্বে অনাদিকালে মহান আল্লাহ পৃথিবতে মানব জাতির সৃষ্টি, তাদের মধ্যে নবী প্রেরণ, নবীদের ওপর কিতাব নাযিল, সব নবীর পরে রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ)-কে পাঠানো এবং তাঁর প্রতি কোরআন নাযিল করার সমস্ত পরিকল্পনা তৈরি করে রেখেছিলেন। কদরের রাতে কেবলমাত্র এই পরিকল্পনার শেষ অংশের বাস্তবায়ন শুরু হয়।
    কোনো কোনো তাফসীরকার কদরকে তকদীর অর্থে গ্রহণ করেছেন। অর্থাৎ এই রাতে আল্লাহ তকদীরের ফায়সালা জারী করার জন্য তা ফেরেশতাদের হাতে তুলে দেন। সূরা দুখানের এ আয়াতটি এই বক্তব্য সমর্থন করেঃ
    “ এই রাতে সব ব্যাপারে জ্ঞানগর্ভ ফয়সালা প্রকাশ করা হয়ে থাকে। --- (৪ আয়াত) ”
    অন্যদিকে ইমাম যুহরী বলেন, কদর অর্থ হচ্ছে শ্রেষ্টত্ব ও মর্যাদা। অর্থাৎ এটি অত্যন্ত মর্যাদাশালী রাত। এই অর্থ সমর্থন করে এই সূরার এ আয়াতটি
    “ কদরের তার হাজার মাসের চাইতেও উত্তম। ”
    এ ব্যাপারে ব্যাপক মতবিরোধ দেখা যায়। এ সম্পর্কে প্রায় ৪০টি মতের সন্ধান পাওয়া যায়। তবে আলেম সমাজের সংখ্যাগুরু অংশের মতে রমযানের শেষ দশ তারিখের কোনো একটি বেজোড় রাত হচ্ছে এই কদরের রাত। আবার তাদের মধ্যেও বেশীরভাগ লোকের মত হচ্ছে সেটি সাতাশ তারিখের রাত। হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) লাইলাতুল কদর সম্পর্কে বলেনঃ সেটি সাতাশের বা উনত্রিশের রাত (আবু দাউদ)। হযরত আয়েশা (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) বলেনঃ কদরের রাতকে রমযানের শেষ দশ রাতের বেজোড় রাতগুলির মধ্যে তালাশ করো।[৫]
    (২) মুফাস্‌সিরগণ সাধারণভাবে এর অর্থ করেছেন, এ রাতের সৎ কাজ হাজার মাসের সৎ কাজের চেয়ে ভালো। রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) এই রাতের আমলের বিপুল ফযীলত বর্ণনা করেছেন। কাজেই বুখারী ও মুসলীমে হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে, রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) বলেছেনঃ
    “ যে ব্যক্তি কদরের রাতে ঈমানের সাথে এবং আল্লাহর কাছ থেকে প্রতিদান লাভের উদ্দেশ্যে ইবাদতের জন্যে দাঁড়ালো তার পিছনের সমস্ত গুণাহ মাফ করা হয়েছে। ”
    মুসনাদে আহমদে হযরত উবাদাহ ইবনে সামেত (রাঃ) বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে, রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) বলেছেনঃ
    “ কদরের রাত রয়েছে রমযানের শেষ দশ রাতের মধ্যে যে ব্যক্তি প্রতিদান লাভের আকাংহ্মা নিয়ে এই সব রাতে ইবাদতের জন্য দাঁড়িয়ে থাকে আল্লাহ তার আগের পিছের সব গুণাহ মাফ করে দেবেন। ”
    এই একটি রাতে এত বড় নেকী ও কল্যাণের কাজ হয়েছে যা মানবতার সূদীর্ঘ ইতিহাসে কোনো দীর্ঘতম কালেও হয়নি।
    (৩) রুহ বলতে জিবরাঈল (আঃ)-কে বুঝানো হয়েছে। তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদার কারণে সমস্ত ফেরেশতা থেকে আলাদা করে তাঁর উল্লেখ করা হয়েছে।
    (৪) অর্থাৎ তারা নিজেদের তরফ থেকে আসে না। বরং তাদের রবের অনুমতিক্রমে আসে। আর প্রত্যেকটি হুকুম বলতে সূরা দুখানের ৫ আয়াত "আমরে হাকীম" (বিজ্ঞতাপূর্ণ কাজ) বলতে যা বুঝানো হয়েছে এখানে তার কথাই বলা হয়েছে।
    (৫) অর্থাৎ সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত সারাটা রাত শুধু কল্যাণে পরিপুর্ণ। সেখানে ফিতনা, দুস্কৃতি ও অনিষ্টকারিতার ছিঁটেফোটাও নেই।
     
আয়তুল কুরসীর ফজীলত, আরবী ও বাংলা উচ্চারন এবং তাঁর অর্থ
User-agent: Mediapartners-Google 
Disallow: 


আয়তুল কুরসীর আরবী উচ্চারন


আয়তুল কুরসীর বাংলা উচ্চারন

আল্লাহু লা (আ)ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুম লা তা খুজুহু সিনাত্যু ওয়ালা নাওম। লাহু মা ফিছ ছামা ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্।মান জাল্লাজী ইয়াস ফায়ু ইন দাহু(উ) ইল্লা বি ইজনিহি ইয়া লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খাল ফাহুম ওয়ালা ইউ হিতুনা বিশাই ইম মিন ইল্ মিহি(হি) ইল্লা বিমা সা (আ) ওয়াসিয়া কুরসি ইউ হুস ছামা ওয়াতি ওয়াল আরদ্ ওয়ালা ইয়া উদুহু হিফজুহুমা ওয়াহুয়াল আলিউল আজীম।

 আয়তুল কুরসীর অর্থ

আল্লাহ, তিনি ব্যতিত কোন মাবুদ নাই। তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী, তাঁহাকে তন্দ্রা ও নিদ্রা স্পর্শ করিতে পারে না। আসমান ও জমীনে যাহা কিছু আছে সব  তাঁহারই। এমন কে আছে, যে নাকি তাঁহার অনুমতি ব্যতিত তাঁহার নিকট সুপারিশ করিবে? তাহাদের (লোকদের) সম্মুখে যাহা কিছু আছে এবং তাহাদের পশ্চাতে যাহা কিছু আছে, সবই তিনি জানেন, এবং তাহারা তাঁহার(আল্লাহ তায়ালার) জ্ঞ্যানের কিছুই আয়ত্তে আনিতে পারে না, তবে তিনি যাহা ইচ্ছা করেন। তাঁহার কুরছী আসমানসমুহ ও জমীনের সর্বত্রই ঘিরিয়া রহিয়াছে। আর এই দুইটির রক্ষনাবেক্ষন করা তাঁহার পক্ষে মোটেই কঠিন নয়, এবং তিনি সর্বোচ্চ ও সুমহান।

 আয়তুল কুরসীর ফজীলত

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ“যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরয সালাতের পর আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে তাকে জান্নাতে যাওয়া থেকে মৃত্যু ব্যতীত কোন কিছুই বাঁধা দিতে পারবে না।” (মুসলিম, নাসাঈ )।

বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০১৪

বিতরের নামায পড়িবার নিয়ম এবং দোয়ায়ে কুনুতের আরবী ও বাংলা উচ্চারন এবং তাঁর অর্থ

User-agent: Mediapartners-Google 
Disallow:

বিতরের নামায পড়িবার নিয়ম
এবং
দোয়ায়ে কুনুতের আরবী ও বাংলা উচ্চারন এবং তাঁর অর্থ 

এশার নামায পড়িবার পর বিতরের তিন রাকাআত নামায পড়িতে হয়, ইহা ওয়াজিবপুর্বে উল্লেখিত তিন রাকাআত বিশিষ্ট নামাযের মত বেতরের নামায পড়িবে। তবে তৃতীয় রাকাআতে সূরায়ে ফাতিহার পর অন্য কোন সূরা বা আয়াত পড়িয়া আল্লাহু আকবর বলিয়া উভয় হস্ত কান পর্যন্ত উঠাইয়া পুনঃ হাত বাঁধিয়া দোয়ায়ে কুনুত পড়িবে। 
 দোয়ায়ে কুনুতের আরবী উচ্চারন
 দোয়ায়ে কুনুতের বাংলা  উচ্চারন সুরা ক্বদরের ব্যাখ্যা, আরবী ও বাংলা উচ্চারন এবং তাঁর অর্থ

আল্লাহুম্মা ইন্না নাস্তাঈনুকা, ওয়া নাস্তাগ্ফিরুকা, ওয়া নু'মিন বিকা, ওয়া নাতাওয়াক্কালু 'আলাইকা,
ওয়া নুছনী আলাইকাল খাইর। ওয়া নাশ কুরুকা, ওয়ালা নাকফুরুকা, ওয়া নাখলাউ, 

ওয়া নাতরুকু মাঁয়্যাফজুরুকা আল্লাহুম্মা ইয়্যাকা না'বুদু ওয়া লাকানুসল্লী, ওয়া নাসজুদু, ওয়া ইলাইকা নাস'আ, ওয়া নাহফিদু, ওয়া নারজু রাহমাতাকা, ওয়া নাখশা আযাবাকা, ইন্না আযাবাকা বিল কুফ্ফারি মুলহিক।

দোয়ায়ে কুনুতের অর্থ 

আয় আল্লাহ! আমরা তোমারই সাহায্য চাই । তোমারই নিকট ক্ষমা চাই, তোমারই প্রতি ঈমান রাখি, তোমারই ওপর ভরসা করি এবং সকল মঙ্গল তোমারই দিকে ন্যস্ত করি। আমরা তোমার কৃতজ্ঞ হয়ে চলি, অকৃতজ্ঞ হই না। হে আল্লাহ! আমরা তোমারই দাসত্ব করি, তোমারই জন্য নামায পড়ি এবং তোমাকেই সিজদাহ করি। আমরা তোমারই দিকে দৌড়াই ও এগিয়ে চলি। আমরা তোমারই রহমত আশা করি এবং তোমার আযাবকে ভয় করি।(যদিও) তোমার আযাবতো শুধুমাত্র কাফেরদের জন্যই র্নিধারিত। ''(তথাপি আমরা সেই আযাবের ভয়ে কম্পমান থাকি।) 
তারপর রুকু সিজদা ইত্যাদি যথারীতি আদায় করিয়া নামায শেষ করিবে।
রমজান মাস ব্যতীত সকল সময়ে বিতরের নামায একা একা এবং নিঃশব্দে পড়িতে হইবে। রমজান মাসে এই নমায জামায়েতের সাথে আদায় করা মুস্তাহাব। রমজান মাসে তারাবীর নামায শেষে ইমাম সাহেব প্রত্যেক রাকাতেরই সজোরে কেরাতে পাঠ করিবে এবং তৃতীয় রাকাআতে ইমাম সাহেব কেরাআত শেষ করিয়া সশব্দে আল্লাহু আকবরবলিয়া কান পর্যন্ত হাত উঠাইয়া পুণরায় তাহা বাঁধিবে।
মোক্তাদিগণ চুপে চুপে শুধু ইমামের অনুকরণ করিবে। হাত বাঁধিয়া সবাই চুপে চুপে দোয়ায়ে কুনুত পড়িবে। পরে যথাবিহিত ইমাম সাহেব রুকু, সিজাদা, তাশাহুদ, দরূদ পড়িয়া ছালাম করিয়া নামায শেষ করিব, মোক্তাদিগহণও তাহার অসনুসরণ করিবে।
যদি কেহ দোয়ায়ে কুনুত না জানে তবে না শিখা  পর্যন্ত সে দোয়য়ে কুনুতের স্থলে নিম্নেক্ত দোয়া পড়িবে।
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

উচ্চারনঃ রাব্বানাআতিনা ফিদ্দুনিয়া হাছানাতাও ওয়াফিল আখিরাতে হাচানাতাও ওয়াকিনা আজাবান্নার।
অথবা, তিন বার আয় আল্লাহ আমাকে মাফ কর, পড়িবে অথবা তিন বার (আল্লাহুম্মাগ ফিরলী, ইয়ারাব্বী) অর্থ হে আমার পতিপালক পড়িবে। কিন্তু সাবধান দোয়ায়ে কুনুত শিখিতে বিলম্ব মোটেও করিবে না।